Thursday, May 9, 2024
spot_img
Homeনারী ও শিশুডেঙ্গুতে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা

ডেঙ্গুতে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা

রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পর দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৬৭ জন, সংখ্যাটি আগের দিনের চেয়ে ৭৬ জন বেশি। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার আগের দিন সংখ্যাটি ছিল ১৩।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ জনে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং মৃত্যুর এই সংখ্যা অতীতের যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ হাজার ৪৪৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩৯০৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪৫৩৮ জন। গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকায় এবং ২ জন অন্য জেলায়।

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে তা আট গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জনে। আগস্টের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৬৬৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

মাসের হিসাবে, জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

জুনে সারা দেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টের ৩০ দিনে আগের যে কোনো সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে, এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের।

এর আগে জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ভয়াবহ পরিস্থিতির শঙ্কা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।

এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ ভর্তি ছিল। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments