Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeবিশ্বরোজার আগে আরব আমিরাতে খেজুরের দাম কমে অর্ধেক

রোজার আগে আরব আমিরাতে খেজুরের দাম কমে অর্ধেক

আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে মুসলিম ধর্মীয় পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে খেজুরের বিপুল চাহিদা থাকে। চাহিদার কথা বিবেচনা করেই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশেষ এই ফলটির দাম স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম রাখছেন বিক্রেতারা। আজ বৃহস্পতিবার খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে খেজুরের মূল্য পরিস্থিতি জানতে আরব আমিরাতের একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়েছিল খালিজ টাইমস। এই অনুসন্ধানে দেশটির শারজাহ শহরের ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেট ও জুবাইল মার্কেটে খেজুরের দামে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার আগেই ওই বাজারগুলোতে বর্তমানে ফিলিস্তিন, জর্ডান ও সৌদি আরব থেকে আমদানি করা ‘মাজদুল’ খেজুর ২০ দিরহাম কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই খেজুর ৩০ দিরহাম কেজি দরে বিক্রি হয়। একইভাবে তিন কেজি ‘রুতাব’ খেজুরের প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ দিরহামে। আগে এই প্যাকেজের মূল্য ছিল অন্তত ৬০ দিরহাম।

এদিকে বিপুল চাহিদা সম্পন্ন ‘আজওয়া’ খেজুর কেজি প্রতি ৪৫ দিরহাম থেকে কমে এখন ৩৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। আর দামের বিবেচনায় সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে সহজলভ্য ‘জাইদি’ খেজুর মাত্র ৫ দিরহাম কেজি দরে দেদারসে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা মাত্র দেড় শ টাকা কেজি। এই খেজুরটি ইরান থেকে আমিরাতে আমদানি করা হয়।

ছবি: খালিজ টাইমস
শারজাহর ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেটের আড়তদার মোহাম্মেদ রইস সব ধরনের খেজুরের মূল্য কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে মাজদুল খেজুরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। আমরা প্রতিদিন এখন ১০০ কেজির বেশি খেজুর বিক্রি করছি। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই দিনে ৫০০ কেজির বেশি খেজুর বিক্রি করতে পারব।’

রইস জানান, বাজারের সব আড়তদারই এখন কম দামে খেজুর বিক্রি করছেন। আর এই সুযোগটিকে শহরের অনেক বাসিন্দাই কাজে লাগাচ্ছেন। অনেকেই রমজান মাস শুরুর আগেই শুকনো এই ফলটি সারা মাসের জন্য কিনে নিতে শুরু করেছেন।

ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেটেরই আরেক আড়তদার আঞ্জিল বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি প্রজাতির খেজুর বিক্রি করছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও অসংখ্য প্রজাতির খেজুর চলে আসবে।’

তবে রমজান শুরু হওয়ার পর খেজুরের চাহিদা বিপুল হারে বৃদ্ধি পেলে খেজুরের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে দাম বর্তমানের চেয়ে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন আঞ্জিল।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments