সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অদূরে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্স। বৃহস্পতিবার রাতে ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্স অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টারও জিম্মি জাহাজ ঘিরে চক্কর দিয়েছে। তবে সেখানে সামরিক অভিযানে আপত্তি জানিয়েছে মালিকপক্ষ। আগে জিম্মি ২৩ নাবিককে নিরাপদে ফেরাতে চাইছে তারা।
জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘সামরিক অভিযান হলে নাবিক, জাহাজ ও জাহাজের পণ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চাই। এর পর সামরিক অভিযান হলে আমাদের আপত্তি নেই। এখন নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।’
সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউএনএভিএফওআর। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক্স অ্যাকাউন্টে এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ থেকে এমভি আবদুল্লাহর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। এ সময় একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতেও দেখা যায়।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। এর পর থেকে দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙরে রয়েছে। গত ২০ মার্চ দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবার যোগাযোগ করেছে। মালিকপক্ষও নাবিকদের ছাড়িয়ে আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।