Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeঅর্থনীতিপেঁয়াজ-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে আলুর

পেঁয়াজ-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে আলুর

রমজানের শুরুতে কাঁচাবাজারের তেজিভাব এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ১০ রোজার পর এখন কেনাকাটায় সামান্য স্বস্তি মিলছে সাধারণ মানুষের।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাক-সবজি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম কমতির দিকে। তবে দাম বেড়েছে আলুর।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে ফার্মের মুরগি ডিমের দামও। তবে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া চাল এবং বেশ আগে থেকে বাড়তি ডাল, তেল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন ১ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও উপরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু হোসেন। তিনি বলেন, এখন আর চড়া ভাব থাকবে না। দিন যত যাবে ঢাকার মানুষ কমতে থাকবে (ঈদে গ্রামে যাবে)। শাক-সবজির দামও কমতি থাকবে।

এদিকে, পেঁয়াজের বাজার গত এক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। একই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় অর্ধেক বা কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখনও বেশি। গত বছরের এ সময় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতি মুনাফার আশায় অনেকেই পেঁয়াজ মজুত করেছিল। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এমন খবর বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে

তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে আলুর বাজারে। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। তবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে আরও বেশি, ১২ থেকে ১৫ টাকা। কারণ মাস খানেক আগে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছিল আলুর দর। প্রতি কেজি নেমেছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। কিন্তু কিছুটা বেড়ে গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এখন দাম আরও বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৩০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়া ফার্মের ডিমের ডজন কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকা দরে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি ডজন ডিমের দর ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। যে কারণে ঢাকার বাজারে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও বেশি কমেছে। ফলে বড় বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments