ঢাকার আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ২২ মাস পর আদালতে নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ মে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এস এম বদরুল আলম নামের এক ব্যক্তি। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দিলারা আলো চন্দনার আদালতে সাক্ষী দেন তিনি।
এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর পর থেকে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান। এরপর ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর, শামীম ও শহীদুজ্জামান দুলাল। আসামিদের মধ্যে আল আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক হোসেন পলাতক রয়েছেন। আর বাকি সব আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি, অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। এরপর তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান এবং আহত হন আরও ১০৪ জন।