Friday, November 22, 2024
spot_img
Homeখেলাধুলাআবু হায়দারের ৭ উইকেটের দিনে ৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স

আবু হায়দারের ৭ উইকেটের দিনে ৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স

গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির ১০ উইকেটের ৭টি নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আজ এমনই আগুনে বোলিং করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বাঁহাতি পেসার।

আবু হায়দারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি গাজী টায়ার্স। মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় তারা। সেটিও মাত্র ১২ ওভারেই। ওয়ানডে সংস্করণে যা কম ওভারে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন ইফতেখার সাজ্জাদ।

মোহামেডানের হয়ে বাকি ৩ উইকেট স্পিনার নাসুম আহমেদের। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬.২ ওভারে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় মোহামেডান। সব মিলিয়ে ১০০ ওভারের ম্যাচ ১৮.২ ওভারেই শেষ।

বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে গাজী টায়ার্সের দলীয় স্কোরটি তৃতীয় সর্বনিম্ন। সর্বনিম্ন স্কোরটি চট্টগ্রাম বিভাগের। ২০০২ সালে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম। আর এই দুই ম্যাচের মাঝে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটি ক্রিকেট কোচিং স্কুলের। ২০১৩ সালে তাদের ৩৫ রানে অলআউট করেছিল আবাহনী।

গাজী টায়ার্সকে বিব্রতকর রেকর্ডে ঠাঁই দেওয়ার দিনে নিজেও রেকর্ড গড়েছেন আবু হায়দার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তিনি। ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে আগের সেরা ৩৫ রানে ৬ উইকেটকে পেছনে ফেলেছেন ২০২৮ সালের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে থাকা বাঁহাতি পেসার। ম্যাচ-সেরাও অনুমিতভাবে তিনিই হয়েছেন।

আবু হায়দারের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা। তাঁর ওপরে ১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দুইয়ে আছেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে এমন বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন বর্তমান জাতীয় দলের নির্বাচক। বাংলাদেশের হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের সেরা বোলিং অবশ্য ইয়াসিন আরাফাতের। ২০১৭-১৮ মৌসুমে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের তরুণ পেসার।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments