Sunday, May 19, 2024
spot_img
Homeজাতীয়ঈদ আনন্দ ম্লান করতে পারে তাপদাহ

ঈদ আনন্দ ম্লান করতে পারে তাপদাহ

৩০ রোজা হলে ঈদ হবে ১১ এপ্রিল। আরও বাকি চার দিন। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই এবার তাপদাহ শুরু হয়েছে, যা আরও বাড়ছে। গরমে অনেকটা নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টিও হচ্ছে না সেভাবে। আবহাওয়ার এ অবস্থা চলবে ঈদের দিনও। ঈদের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।

ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া- জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান শনিবার দুপুরে  বলেন, এ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। তাপমাত্রা থাকবে বেশি। গরমের অনুভূতি ও হাঁসফাঁস অবস্থা থাকবে।

তিনি জানান, এখন গরম কাল। বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম। তাই তাপমাত্রা গরম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বছরের এই সময় কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে যেকোনো সময় বৃষ্টি হতেও পারে।

এ আবহাওয়াবিদ বলছেন, রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে থাকবে। দুই দিন একটু কমের দিকে থাকবে। এরপর আবার বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা গরম থাকলে স্বাভাবিকভাবে গরমের অনুভূমিও থাকবে।

এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়েই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়া অবস্থা আরও এক সপ্তাহ চলবে। এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে।

এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। গত বছর রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে সেটাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এ সময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু ৮-৯ এপ্রিলের আগে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments