Monday, May 20, 2024
spot_img
Homeধর্মশিরকের মর্ম ও ভয়াবহতা

শিরকের মর্ম ও ভয়াবহতা

কিছু পাপ এমন আছে, যা কখনো মাফ হয় না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ও মারাত্মক হলো, শিরক তথা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। স্বাভাবিকভাবে শিরকের এই অর্থই আমরা জানি। কিন্তু শিরকের প্রকৃত মর্ম ও ব্যাখ্যা আমাদের অনেকেরই অজানা। মূল বিষয় হলো, শিরক মানে আল্লাহর গুণাবলি দিয়ে কোনো নবী, অলি, বুজুর্গ ব্যক্তিকে গুণান্বিত করা অথবা আল্লাহর সমপর্যায়ে কাউকে সমাসীন করা।

হ্যাঁ, সেটা বিশ্বাসগত হোক কিংবা বলা-কওয়ার মাধ্যমে হোক। আল্লাহর সমগুণে তাঁর যেকোনো সৃষ্টিকে গুণান্বিত করাই শিরক। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বান্দার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন, কিন্তু শিরক ক্ষমা করবেন না। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে শিরক থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে।

কেননা শিরক করলে ইবাদত পরকালে কোনো ফল বয়ে আনবে না। শিরক বান্দার সব ইবাদত-বন্দেগি নষ্ট করে দেয় এবং আল্লাহ তাআলার ক্রোধকে অবারিত করে। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে। এ ছাড়া যেকোনো অপরাধ, যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে, সে এক গুরুতর পাপে লিপ্ত।’ (সুরা নিসা: ৪৮)

হজরত লোকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে কখনো শরিক করবে না। নিশ্চয়ই শিরক এক গুরুতর অন্যায়।’ (সুরা লোকমান: ১৩) হজরত আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না?’ কথাটি তিনবার বলার পর তিনটি গুনাহের কথা উল্লেখ করেন। এক. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, দুই. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া এবং তিন. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা মিথ্যা কথা বলা।’ (মুসলিম: ১৬১)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments