শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেল বাংলাদেশ দল। সিরিজের দুটি টেস্টেই স্বাগতিকদের ব্যাটিং ছিল চক্ষুশূল। তিন ইনিংসে অলআউট হয়েছে তারা ২০০ রানের আগে। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেই সর্বোচ্চ ৩১৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
উইকেটে ব্যাটিং করা যতটা সহজ মনে হচ্ছিল, তাতে আরও ভালো ব্যাটিং করার সুযোগ ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। শান্তর নিজের ব্যাটিংও ছিল অস্বস্তির। দুই টেস্টে কোনো ইনিংসে পৌঁছাতে পারেননি ফিফটি পর্যন্ত। লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়দের ব্যাটিং ছিল আরও হতাশার।
ব্যাটিংয়ের ভঙ্গুর দশা দেখে গতকাল অভিজ্ঞ মুমিনুল হক প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নিয়েও। যেখানে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব রয়েছে। ফলে খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে প্রস্তুত হয়ে আসার সেরকম কাঠামোই নেই।
মুমিনুলের সুরে আজ কথা বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত। টেস্ট সিরিজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের ব্যাটিং দেখেন, সবাই থিতু হয়েছে কিন্তু বড় স্কোর পায়নি। এটা চিন্তার বিষয়। আপনি থিতু হলে আপনাকে স্কোর করতে হবে। আমাদের আরও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।’
তবে হারের মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন শান্ত। অভিষেক ম্যাচে হাসান মাহমুদের বোলিং, নিয়েছেন ৬ উইকেট। এক বছর পর টেস্টে ফিরে সাকিব আল হাসানও ব্যাটিং-বোলিংয়ে মোটামুটি অবদান রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হারের আগে লড়াই করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক এক করে সবাই ড্রেসিংরুমে ফিরলেও ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সে প্রসঙ্গে শান্ত বললেন, ‘হাসান মাহমুদ যেভাবে বোলিং করেছে, তা ইতিবাচক। সাকিব ভাইয়ের বোলিং-ব্যাটিং সত্যিই ভালো এবং মেহেদি হাসানও ভালো ব্যাটিং করেছে।’