Monday, May 20, 2024
spot_img
Homeধর্মজুলুমের পরিণতি ও শাস্তি

জুলুমের পরিণতি ও শাস্তি

সমাজের এমন কোনো স্তর বা শাখা-প্রশাখা নেই, যেখানে শক্তিশালীরা দুর্বলের প্রতি অন্যায়-অনাচার করে না। অথচ জুলুম আল্লাহ তাআলার কাছে এক অমার্জনীয় অপরাধ। এর শাস্তি ও পরিণতি সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে কঠিন সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হবে।’ (বুখারি: ২৪৪৭)

জুলুমের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হলো, মজলুমের বদদোয়া। মজলুম ব্যক্তি যখন মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তখন আল্লাহ তাঁকে ফেরত দেন না। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মুয়াজ (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠান এবং তাকে বলেন, ‘মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি: ২৪৪৮)

আজ পৃথিবীতে জালিমের অন্যায়ের ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্ত। কত অসহায় মানুষ দুহাত তুলে জালিমের ধ্বংস প্রার্থনা করছেন। তবে মহান আল্লাহ জালিমকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালিমরা যা করছে সে সম্পর্কে তোমরা আল্লাহকে উদাসীন ভেবো না, তিনি তাদের ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন ওই দিন পর্যন্ত, যেদিন চোখগুলো সব আতঙ্কে বড় বড় হয়ে যাবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪৩)

মহান আল্লাহর শাস্তি ও পাকড়াও যেদিন আসবে, সেদিন জালিমকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘এমনই ছিল তোমার রবের ধরপাকড়, যখন তিনি ধরেছিলেন ওই জালিম বসতিগুলোকে। নিশ্চয়ই তার ধরা অনেক কঠিন যন্ত্রণাময়। (সুরা হুদ: ১০২) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘জালিমদের কোনো বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে। (সুরা মুমিন: ১৮) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৯২)

লেখক: হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments