Sunday, May 19, 2024
spot_img
Homeধর্মইফতার করার সুন্নত পদ্ধতি

ইফতার করার সুন্নত পদ্ধতি

ইফতার হলো রোজাদারের জন্য বিশেষ আনন্দের একটি উপলক্ষ। দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে যখন মানুষ এক চিলতে খাবার মুখে দেয়, তখন এর বিশেষ আনন্দানুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো থাকে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি আনন্দ। এক. ইফতারের সময়। দুই. রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব শিষ্টাচার অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও শিষ্টাচার। এখানে ইফতারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আলোচনা করা হলো—

এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা। সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘লোকেরা তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতার দ্রুত সম্পন্ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দুই. যৌথভাবে ইফতার করা। একা একা ইফতার করা অনুচিত। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার ভাইকে ইফতার করাবে, সে ওই ব্যক্তির রোজার সওয়াব লাভ করবে। এবং তার রোজার সওয়াবের মধ্য থেকে কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)

তিন. ইফতারের সময় দোয়া করা। হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় সাধারণত রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ)

চার. ইফতারের দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো, আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, ‘আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ)

পাঁচ. মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা। বিশেষত খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। মিষ্টিজাতীয় কিছু পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments