রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতাঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার প্রতিটি হাটে-বাজারে চলে এসেছে এ বছরের খেঁজুর ও আখের নতুন গুড়। প্রতিবছর এই সময়ে রাজশাহী,চাঁপাই নাটোর, বনপাড়া এলাকায় শুরু হয় খেঁজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে পাতা হয় মাটির হাঁড়ি। সারা রাত ধরে ফোঁটা ফোঁটা রস জমে হাঁড়িতে। সকালে সেই রস নিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির ব্যস্ততা। বড় চুলায় ফুটন্ত রসের ঘ্রাণে তখন মিষ্টি হয়ে ওঠে ঐ এলাকার পুরো গ্রাম।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী বাজারের গুড় ব্যবসায়ীগণ ইনকিলাব প্রতিনিধিকে জানান, আমরা সাধারণতো সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও সোমবার হাটবারের আগেরদিন সন্ধ্যায় রাজশাহীর ঝলমলিয়া, পুঠিয়া এবং নাটোরের বনপাড়া, আহমেদপুর পাইকারি বাজার থেকে পিক-আপ, মিনি ট্রাকে এসব গুড় কিনে এনে পড়সা সাজিয়ে বিক্রি করি।
এ বছরের নতুন খেঁজুর ও আখের গুড় বাজারে আসাতে মানুষ কেনা শুরু করেছে। তবে বর্তমান চাহিদা একটু কম থাকায় আমরা কমদামে গুড় কিনতে পারছি। শীত বাড়ার সাথে সাথে গুড়ের বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে, তখন দামও বাড়তে থাকে। বর্তমান খেঁজুর গুড় ২শ থেকে ২৫০ টাকা, আখের গুড় ১শ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি।
গুড় কিনতে আসা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাজারে নতুন গুড় এসেছে তাই কিনতে আসলাম। নতুন গুড় দিয়ে সিজনাল ফল জলপাই এর আচার তৈরি করব। যা সংরক্ষণ করে সারাবছর খেতে পারব এবং বাড়িতে মেহমান আসলে তাদেরকে নতুন গুড় দিয়ে পিঠা ও পায়েস তৈরি করে আপ্যায়ন করব।

