জেলা প্রতিনিধি,মাদারীপুর:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীরা নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য, ১৪ তম গ্রেড প্রদান সহো ৬ দফা দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশে ব্যাপী ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের সামনে ব্যানার লাগিয়ে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিষ্ট্যান্ট আসোসিয়েশনের
কালকিনি উপজেলার প্রায় শতাধিক কর্মিবৃন্দ উক্ত কর্মিবরতি পালন করেন।
তাদের ৬ দফা দবির মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন ভাতা বৈষম্য দূরীকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান,১৪ তম গ্রেডে উন্নতি করন, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ১১ তম গ্রেডে উন্নতি করন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান।
কর্মবিরতি কর্মসুচি পালন কালে বিভিন্ন বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন আমরা বিগত ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে আমাদের ৬ দফা দবিতে আমরা বিভিন্ন কর্মসুচি পালোন করেছি, কর্মসুচি চলাকালিন সময়ে অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তার আশ্বাসে আমরা কর্মসুচি স্থগিত করে কাজে ফিরে যাই , কিন্তু আমাদের দাবি পুরনে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখাযায় নাই।
২০২০ইং সালে আমরা আবার কর্মবিরতি কর্মসুচিতে গেলে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমাদের শীর্ষ নেত্রীবৃন্দের উপস্থিতিতে উক্তসভার রেজুলেশন মাফিক আমাদের দাবি পুরণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, কিন্তু এদাবি ও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি, ২০২৫ সালে এসেও আমরা আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করি, বিগত ১৭ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখ অধিদপ্তর আগামী ১ মাসের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পে ফিরেযাই। এর পরেও অদ্যবদি আমাদের ৬ দফা বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি, পরে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা),
২৯,৩০ সেপ্টেম্বর জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান কিরি, ১ অক্টোবর থেকে ইপিআই ও আসন্ন টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনসহ সকল প্রকার কার্যকর্ম বর্জনসহ অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি সিদ্ধান্ত গ্রীহিত হয়। বক্তারা আরো বলেন যে তাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসুচি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির ফলে মা ও শিশুর টিকাদান কর্মসুচি বন্ধ রয়েছে দেশ জুরে ১ লক্ষ ২০ হাজার আউটরিচ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিদিন ১৫০০ হাজার কেন্দ্রে টিকাদান বন্ধ থাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মা ও শিশু টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এছারা ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টাইফয়েড টিকাদান কর্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পরেছে, যা দেশের প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর কে প্রভাবিত করতে পারে।

