সজিব আহমেদ,ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
সোমবার ভোরে ত্রিশালের বড় পুকুরপাড় এলাকায় দুই পণ্যবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন; একই দিনে ভালুকার মাস্টারবাড়িতে কাভার ভ্যানের চাপায় প্রাণ হারালেন আরও এক বৃদ্ধ।
ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে সোমবার একুশে অক্টোবর পৃথক দুটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভোরে ত্রিশালে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও সহকারীসহ দুইজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। ভোর আনুমানিক ৫টা ৪০ মিনিটে ত্রিশাল উপজেলার ২নং বৈলর ইউনিয়নের বড় পুকুরপাড় জামে মসজিদের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালক আল আমিন (৪০) নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার বাসিন্দা জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং তার সহকারী রাশেদুল (২৮) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোতোয়ালি থানার কালিবাড়ি গোদারা ঘাট এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের আকস্মিক টায়ার ব্লাস্ট হলে সেটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়। এমন সময় পেছন দিক থেকে আসা আরেকটি দ্রুতগামী ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এবং চালক ও সহকারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস ও ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এদিকে, একই দিনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালুকা উপজেলায় আরও একটি প্রাণহানি ঘটেছে। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা (১১:৩০ ঘটিকা) নাগাদ ভালুকা স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মফিজ উদ্দিন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হন। তিনি কাশর রোড মাস্টারবাড়ী রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কাভার্ড ভ্যানটি স্থানীয় জনতা আটক করেছে।
একই দিনে মহাসড়কে তিনটি মূল্যবান জীবনহানির ঘটনায় সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশা বিরাজ করছে। ঘন ঘন দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

