সারোয়ার নেওয়াজ শামীম হবিগঞ্জ, প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দালালদের উপদ্রবে নিঃস্ব হচ্ছেন রোগীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে , র্যাব ৯ সিপিসি ৩ (শায়েস্তাগঞ্জ) এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম এর নেতৃত্বে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২৫) ইং সকালে ১১ ঘটিকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একদল র্যাব সদস্য হাসপাতালে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের নয় সদস্যকে আটক করে।
আটককৃতরা হল-১। অশিত দাশ (৪০) পিতা প্রশন্ন দাস, গ্রাম কান্দিপাড়া,থানা বানিয়াচং।
২/ রমিজ আলী রনি (২৭) পিতা আরজ আলী, গ্রাম- পৈল, হবিগঞ্জ সদর,
৩/ মো: কামাল শাহ (২৫) আইদর শাহ গ্রাম অনন্ত পুর, হবিগঞ্জ সদর,
৪/ আসাদুজ্জামান রিপন, (৪৩) পিতা আকল আলী
গ্রাম ; আনন্দ পুর হবিগঞ্জ সদর।
৫/ কাউছার( ৩০) পিতা হরুফ মিয়া গ্রাম: হাতিয়া- থানা সুনামগঞ্জ
৬/ বিলু মিয়া (৪২) পিতা: ম মজর আলী গ্রাম, সতমুখা, বানিয়াচং
৭/ আ: খালেক মিয়া,(২৭) পিতা বেলাল মিয়া,গ্রাম, ফুল গাও থানা চুনারুঘাট হবিগঞ্জ,
৮/ নিতু ঘোষ(৩৫)
পিতা নিকুঞ্জ ঘোষ সাং জলসুখা থানা আজমিরিগঞ্জ গ জেলা হবিগঞ্জ।
৯/ সৌরভ রায় (২২)
পিতা নিখিল রায় সাং আব্দুল্লাহপুর থানা সদর জেলা হবিগঞ্জ।
র্যাব ৯ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম জানান,
, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল এলাকায় দালাল চক্রের উপদ্রব বেড়েছে। এদের খপ্পরে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হচ্ছেন।
বিষয়টি তাদের নজরে এলে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন,, সদর আধুনিক হাসপাতালের কিছু আসাধু ব্যক্তির ও আত্মীয়দের যোগসাজশে বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক ও ফার্মেসী গড়ে উঠেছে।
দালালরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। আর এ সুযোগে ক্লিনিকের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা।
দালালরা শুধু ক্লিনিকে নয় ঔষধের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ফার্মেসীতে।
আর ফার্মেসী গুলোর রয়েছে একাধিক দালাল। তারা তাদের ফার্মেসীর ঔষধ বেশি বেচাকেনার জন্য নিজস্ব দালাল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
র্যাব ৯ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম বলেন অনিয়ম এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে,
শিক্ষা কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার মোঃ মহসীন মিয়া ১৫ দিন কারাদন্ড ও ২০০ টাকা করে জরিমানা দিয়ে আসামীদের কারাগারে প্রেরন করা হয় ।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, র্যাব, তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে।
পরে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সারোয়ার নেওয়াজ শামীম

