ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০ নং ওয়ার্ডের কান্দিপাড়া এলাকায় এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম জিহাদ (১৯)–এর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকার আলোচিত ব্যক্তি জহির মিয়া (৪৫) ও তার নেতৃত্বে থাকা ১৪–১৫ জনের একটি দল এ ঘটনায় জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কলেজের সামনে কয়েকজনকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখে সামিউল প্রতিবাদ করেন। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়—এমন অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সামিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সামিউলের বাবা মাইনুল হোসেন বলেন,
“আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এলাকায় এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কেউই নিরাপদ নয়।”
তবে অভিযুক্ত জহির মিয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি এবং ঘটনার বিষয়ে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।
হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই পুরো কান্দিপাড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন—
“অনেক দিন ধরে এলাকায় ভয়ভীতি তৈরি করে রাখছে একদল মানুষ। বাচ্চারা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে কলেজে যেতে পারে না।
অনেকেই অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান—
“সামিউল শান্ত, ভদ্র ও মেধাবী ছাত্র। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে।”
তারা আরও অভিযোগ করেন,
“দ্রুত বিচার না হলে আগামী সপ্তাহে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ঘটনার পর মানবাধিকার সংস্থা BASC (বাসক) এক ভিডিও বার্তায় নিন্দা জানায়। সংগঠনটির জেলা প্রতিনিধিরা বলেন—
“দিনদুপুরে একজন শিক্ষার্থীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।
তারা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৭ (হত্যাচেষ্টা), ৩২৫ (গুরুতর আঘাত) ও ৩৪ (যৌথ অপরাধ) ধারায় এ ধরনের হামলা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন—
“দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

