জয়নাল আবেদীন হিরো,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ট্রান্সফরমাসহ নানান সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চোর সদস্যের মূল হোতা বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম-৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আদানির মোড় সংলগ্ন বকসাপাড়া এলাকায় আমিনুলের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে একটি বড় ট্রাক, একটি মটর সাইকেল ও ২ টি ট্রান্সফরমারসহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে।
এসময় বাড়ি মালিক ওই এলাকার মৃত সাহাজ উদ্দিন বোদার ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫০) কে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে,আমিনুল ইসলাম তাঁর বিশাল জায়গায় ৩০/৩৫টি ছোট ছোট রুম তৈরী করে ৷ আর এসব রুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নারী পুরুষ এসে ভাড়ায় থাকেন ৷ তারা এখানে মূলত দেহ ব্যবসা,মাদক ব্যবসা করে এবং বিদ্যুতের বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে গোডাউন জাত করে ৷ পরে এগুলো কেটে বিক্রি করেন ৷ আর এসব ব্যবসার সিংহ ভাগ টাকাই আমিনুল নেয় ৷ সেখানে দিনে রাতে মাদক ও দেহ ব্যবসা চলে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন লোককে ফাঁদে ফেলে টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেওয়া হয় ৷ এর আগে সৈয়দপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমিনুলকে একাধিক বার আটক করে ৷ পরে জামিনে ছাড়া পান এবং তাঁর আত্মীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার কারনে তাদের তকদিরের ওই সময় ছাড়া পান ৷ ওই সময় অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী কয়েকজন নারী-পুরুষ মাদকসহ ধরা পড়ে ৷ এসব অবৈধ ব্যবসা করে আমিনুল আজ কোটিপতি হয়েছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৷ তাঁর রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ৷ এর ফলে দীর্ঘ ৮/৯ বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছে ৷
তবে এলাকাবাসী তাঁর উপযুক্ত বিচার দাবী করেছে ৷
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সৈয়দপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলী উজ্জ্বল আলী বলেন, এখানে বেশ কিছু আমাদের চুরি হওয়া নানান সরঞ্জাম এখানে পাওয়া গেছে। মূলত এই চক্রটি বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের ট্রান্সফরমার নানান সরঞ্জাম চুরি করে এই বাড়িতে রাখতেন। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আঃ ওয়াদুদ বলেন, আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানাতে পারি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোরের সক্রিয় সদস্যরা , একটি ট্রাকে করে চুরি করে আমিনুল ইসলামের বাসার একটি গোডাউনে সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিল। এই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর সদস্যের কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ীর মালিক আমিনুল ইসলামকে
আমরা আটক করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের তদন্ত ও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য উদ্ধার হওয়া সামগ্রী নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সম্পত্তি । এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়

