মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো:
দেশের সাধারণ মানুষ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যে হেরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এতে অতীতের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে বলেও সাধারণ মানুষকে মন্তব্য করতে শোনা গেছে। জুলাই অবস্থান পরবর্তী সাধারণ মানুষ আশা করেছিল নতুন অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় বসে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বদলে দিবে। সাধারণ মানুষের আশা ছিল পথে-ঘাটে স্বাধীনভাবে চলাফেরার পাশাপাশি যানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু এগুলা বিপরীত হয়ে কাজ করতেছে। সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে হচ্ছে অধিক ঝুঁকি নিয়ে। ঘর থেকে বা অফিস থেকে বের হলেই যেন ছিনতাইকারীদের ভয় লেগে থাকে সব সময়। একটি অপরাধচক্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটু নমনীয়থাকে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন প্রকারের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।
প্রতিদিন গণহারে যেভাবে চিনতাই চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিভিন্ন কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে এতে সচেতন সমাজ চিন্তিত হয়ে পড়ছে এসব কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা দীর্ঘ হলে অপরাধের প্রবণতা কি পরিমান বাড়তে পারে তা কল্পনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক সরকার না থাকার কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গঠন হওয়ার জন্য কোন প্রকারের নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে না। স্থায়ী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকার এসব বিষয়ে তেমন মাথা ঘামাচ্ছেনা বলে অনেকের অভিমত।
বিশেষজ্ঞদের মতে অন্তবর্তী সরকার শুধু রুটিন মাফিক কাজ করে যাচ্ছে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কঠোর হতে দমন করার জন্য কোন প্রকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাই যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো অতীতের ভূমিকায় রয়েছে বলেও অনেকের ধারণা। দেশের চলমান ব্যবস্থাপনায় পুলিশে একশন কমে যাওয়াতে অপরাধী গ্রুপগুলো তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব উদ্যোগে কঠোর কোন ভূমিকা পালন করবে না বলেও অনেকের অভিমত।
নাম প্রকাশ না করার সত্বে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন জুলাই আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটা নষ্ট করেছিল তৎকালীন সরকার পুলিশকে যেন তেন ভাবে ব্যবহার করার কারণে সাধারণ মানুষ আর তেমন আস্থা রাখতে পারছে না পুলিশ বিভাগের উপর। অথচ এই পুলিশ কিন্তু সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিছু কিছু পুলিশের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আজ পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বদনামের ভাগী হয়ে গেছে। এটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। কিন্তু আদৌ কি পুলিশ অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে এমন প্রশ্ন সাধারন মানুষের।
তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসতেছে ততই সাধারণ মানুষের চিন্তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। এই চিন্তাটা শুধু ভোট নিয়ে নয় সাধারণ মানুষ এখন চিন্তা করতেছে নির্বাচনকালীন আগে এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলো আরো কটন না হয় তাহলে হত্যাকাণ্ড জনিত বিষয়গুলো আরো বেড়ে যেতে পারে। অপরাধীরা মাঠে ময়দানে যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে এবং চিনতাই চুরি করে যাচ্ছে এতে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত। এসব বিষয় নিয়ে এখন থেকে যদি অন্তবর্তী সরকার ঘটনা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

