ফাহিমুল ইসলাম মহেশখালী প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ISEC) এর আওতায় NSDA Assessment পরিচালিত প্লাম্বিং (Level-1) প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও প্রশিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং, দুপুর ১২টায় মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ISEC বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৪৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে স্থানীয় ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন, যারা প্লাম্বিং বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আজিজুল করিম, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক *মোঃ জাকেরুল ইসলাম, যিনি কোর্স সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন দক্ষ প্রশিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার অনুকূল সরকার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রশিক্ষক মুহাম্মদ শাহেদ*, যাদের আন্তরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক পর্যায়ের প্লাম্বিং বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে দক্ষতা অর্জন করে।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, “এই প্রশিক্ষণ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা শুধু একটি কারিগরি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করিনি, বরং সময়ানুবর্তিতা, পরিশ্রম, এবং আত্মবিশ্বাসের শিক্ষা পেয়েছি।
বিদায়ী প্রশিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার অনুকূল বলেন, “মহেশখালীর ছেলেরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। তারা এই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে প্লাম্বিং পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।”
প্রশিক্ষক অনুকূল সরকার বলেন, “জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকূলের তরুণদের কর্মসংস্থান ও আত্মনির্ভরশীলতার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ ধরণের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকলে বেকারত্ব অনেকটাই কমে যাবে।”
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রশিক্ষণার্থীরা। প্রশিক্ষণার্থীরাও আবেগঘন পরিবেশে তাদের প্রিয় প্রশিক্ষকদের বিদায় জানান।
পরিশেষে কোর্স সমন্বয়কারী মোঃ জাকেরুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, “দক্ষতা অর্জনই কর্মসংস্থানের চাবিকাঠি। তোমরা এখন যেটুকু শিখেছো, তা কাজে লাগিয়ে জীবনে এগিয়ে যাও—এই আমাদের চাওয়া।”
এ ধরণের কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে মহেশখালীর আরও বড় পরিসরে আয়োজনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও মুনাজাতের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন হয়।

