কোটা আন্দোলনকারীদের রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফেরানোর আহ্বানে ছাত্রলীগের সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডুর অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এ মারামারির সূত্রপাত ঘটে।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ভালো’ জায়গায় দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয়। ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের বক্তব্য চলাকালে একদল অন্যদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট পর্যন্ত ধাওয়া করে নিয়ে যায়। পরে সেক্রেটারি সৈকত নিজে স্টেজ থেকে নেমে নেতাকর্মীদের আলাদা করেন এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইনান শয়নের হাত থেকে মাইক নিয়ে স্লোগান ধরেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, শয়ন বক্তব্য দেওয়ার শুরুতেই তার নেতাকর্মীরা মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মঞ্চের কাছে সৈকতের নেতাকর্মীরা ছিলেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে একটু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর আগেও এমন হয়েছে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্লোগান থামান, স্লোগানের চেয়ে ডিসিপ্লিন জরুরি। আর সেই ডিসিপ্লিনের কী অবস্থা সেটা আমরা দেখেছি। সংগঠনের ডিসিপ্লিন না মানলে আমরা সময়মতো ব্যবস্থা নেব। সংগঠন কারো মামার বাড়ির আবদার নয়। আমরা খোঁজ রাখছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।