মুশফিকুর রহিম বড্ড আবেগি। এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরে, টেস্ট নেতৃত্ব হারিয়ে মুশফিকের কান্না এখনও অনেকের চোখে ভাসে। সমালোচনা আর আবেগের বশে গত বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলেছেন তিনি। ওই অবসর নিয়ে আক্ষেপ নেই দাবি করলেও আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে মুশফিক রাখলেন প্রশ্ন, ‘আমি কি নিজের ইচ্ছায় অবসর নিয়েছি?’
বুধবার বিপিএলের দশম আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। দলকে জেতাতে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ৩৮ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তিনি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে টি-২০’র আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থামিয়ে দেওয়া নিয়ে কথা বলেন।
সেখানে মুশফিক বলেন, ‘আক্ষেপ নেই (আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে বিদায় নেওয়ায়)। এসব আপনারা (পারফরম্যান্স ও গেমসেন্স ভালো) ভালো খেলছি তাই বলছেন, আগে তো কাউকে বলতে শুনিনি। আমি কি একটা প্রশ্ন রাখবো? আমি কি নিজ ইচ্ছায় টি-২০ থেকে বিদায় নিয়েছি? আমি যে মাসে অবসর নিলাম, তার আগের মাসটা একবার দেখেন, আমার আর কিছু বলার দরকার পড়বে না।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে মুশফিকুর রহিম বাজে ক্রিকেট খেলেন। তখন তার পারফরম্যান্স নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয়। এমনকি তার ওই এশিয়া কাপের দলে নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ৪ সেপ্টেম্বর অবসর নেন ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এবারের বিপিএলে মুশফিক পঞ্চম সর্বাধিক ৩৬৭ রান করেছেন। খুলনার বিপক্ষে ৩৯ বলে ৬৮ ও কুমিল্লার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সর্বাধিক রানের তালিকায় আছেন টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিম ইকবাল। ভালো কিছু ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহও।
বুড়োদের দল ফাইনাল ওঠা নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আসরের শুরুতে অনেকে বলেছিল, বরিশাল বুড়োদের দল। টি-২০ ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা তেমন কাজে লাগে না। এই ধারণা একেবারেই ভুল। আমরা এখন ফাইনালে। অভিজ্ঞতা যেকোন ফরম্যাটে অত্যন্ত মূল্যবান।’