এম এস হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
২০২৪ সালের জুলাই মাসে চাকুরীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার। সমসাময়িক কর্মকাণ্ডে সামাজিক প্রশংসা কুড়ালেও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এবার বিতর্কের মুখে পরলেন তিনি নিজেই।
মুক্তি যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন সমালোচক তার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
অভিনেতা খায়রুল বাসার নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে নিজের অনুভূতি ও ক্ষোভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন বাসার। তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাসার লেখেন, “আজ নাকি আমার ক্যাম্পাসে আমাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ হবে?
এই চোরের রাষ্ট্রে, এই বাটপারের রাষ্ট্রে আমি কোন অপরাধে? আমি কি অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুগ ধরে কথা বলেছি বলে? নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছি বলে?”
নিজের ক্যাম্পাসের অনুজদের উদ্দেশে খায়রুল বাসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ওকে, আমার ভাইয়েরা; আমার প্রিয় অনুজরা, আমার ছবিটা বড় করে প্রিন্ট করো এবং সবচেয়ে পচা জুতাটা নিক্ষেপ করো।
আমি হাসিমুখে গ্রহণ করবো। কারণ আমি বুঝেছি তোমরা রাজনৈতিক হয়েছো, তোমাদের ইগো এবং আলাদা লক্ষ্য নিয়ে নেমেছো। সেখানে সাধারণ মানুষের আবেগ তোমাদের বিবেচনার বিষয় নয়।”
অভিনেতা বাসার আরও লেখেন, “তোমরা কেবল ক্ষমতার দাস নও, তোমরা নিজের, দেশের এবং দায়িত্বেরও। এই বিশ্বাস হয়তো ভেঙে যাচ্ছে, ভাঙুক! আমি তো তেমন বড় কিছু নই। ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো তোমাদের জন্য। তোমরা এ দেশের প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং মানুষের হয়ে উঠো—এই কামনা।”
উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ আগস্ট খায়রুল বাসার সামাজিক মাধ্যমে কবি আল মাহমুদ এবং নির্মলেন্দু গুণের কবিতা শেয়ার করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান। তার সেইফেসবুক পোস্টকে ঘিরেই সমালোচনার ঝড় তুলে ঢাবির কিছু শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে এই নোংরা প্রতীকী কর্মসূচির পালন করে।

