নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা মানুষের জন্য আলোর পথ। কিন্তু সেই আলো যদি নৈতিকতার সঙ্গে না মেলে, তবে তা সমাজে অন্ধকারও তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের এক নারীর জীবনের ঘটনা সমাজকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
ওই নারী সমাজে শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত ছিলেন; মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। প্রথম স্বামী প্রবাসে থাকাকালে তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তালাক দিয়ে নতুন স্বামী গ্রহণ করেন। কিন্তু পাঁচ বছর পর আবার গোপনে প্রথম স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বাড়িতে এনে নির্জনে সময় কাটাতে থাকেন। এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ডিগ্রি দিয়ে শিক্ষিত হওয়া যায়, কিন্তু নৈতিকতা ছাড়া সেই শিক্ষা অর্থহীন। মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলেও যদি চারিত্রিক মূল্যবোধ না থাকে, তবে তাকে কি প্রকৃত শিক্ষিত বলা যায়?”
এই ঘটনায় প্রমাণিত হলো—ডিগ্রি কেবল একটি সনদ। এটি কর্মজীবনে সহায়ক হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। নৈতিকতা মানুষকে করে সৎ, সত্যবাদী ও মানবিক। এর অভাবে শিক্ষিত মানুষও সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নারায়ণগঞ্জের এই ঘটনাটি আমাদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো। আজকের দিনে শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা অবহেলিত হওয়ায় সমাজে এমন ডিগ্রিধারী তৈরি হচ্ছে, যারা প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত নয়। শিক্ষা তখনই আলোকিত হয়, যখন তা নৈতিকতার সঙ্গে মিশে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অতএব বলা যায়, বড় ডিগ্রি অর্জন করলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না, যদি তার নৈতিক শিক্ষা না থাকে।

