হোসেন হাওলাদার,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ডহরি তালতলা খালের পদ্মা নদীর মুখে বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে কলমা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তুহিন খন্দকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে তুহিন খন্দকারের নেতৃত্বে ৩–৪টি বাল্কহেড আটকানো হয়। এ সময় একটি জাহাজে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে সালিসির নামে মালিকদের কাছে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, টাকা না দিলে জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
জাহাজের মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, তাকে স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জাহাজের মালিক মো. শহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন যদি জরিমানা করে, আমি তা দিতে বাধ্য। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা আমার কাছে টাকা দাবি করছেন—এটা কি ধরনের বিচার?”
স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
অভিযুক্ত তুহিন খন্দকার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও) আমাকে খালে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে।”
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন স্পষ্টভাবে জানান, “আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে বিচার বা সালিস করে টাকা নেওয়ার কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাল্কহেড আটকানোর অনুমতিও দেয়া হয়নি। তুহিন খন্দকার প্রশাসনের নামে কাজ করে থাকলে তা গুরুতর অপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই জাহাজ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তুহিন খন্দকারকে সতর্ক করা হয়েছে।

