সিলেট জৈন্তাপুরের গরু বহনকারী পিকআপ ও যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন। এসময় আহত হয়েছেন আর ৭ জন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহসড়কের দরবস্ত এলাকায় সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে দরবস্ত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত এক সপ্তাহ আগে একই মহাসড়কে পর্যটকবাহী বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নিহত চারজন হলেন- উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের মেয়ে মঙ্গলী পাত্র (৫০), পুশ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র (৩৫) ও তার ৬ মাস বয়সী মেয়ে বিজলী পাত্র, সেভন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৮) ও নন্ত পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রি পাত্র (৩৫)। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে তিন জন ও হাসপাতালে দুইজন মারা যান। নিহত সবাই লেগুনার যাত্রী।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- পুশ পাত্র (৪০), তার ২ সন্তান জিদান পাত্র (১৮) ও আরেক শিশুপুত্রসহ লেগুনার চালক ও দুইজন যাত্রী। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-তামাবিল মহসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত হতে একটি গরু নিয়ে পিকআপ ট্রাক হরিপুরের দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিকে চিকনাগুল থেকে লেগুনা যোগে মোকামপুঞ্জি এলাকায় বৌভাতে যাচ্ছিল পাত্র সম্প্রদায়ের এক পরিবার। দরবস্ত এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও হাসপাতালে দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ ও স্থানীয়দের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ একই সড়কে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে এক শিশু মারা যায়। ৪ মার্চ মোকামপুঞ্জি এলাকায় পিকআপ ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান তিন বন্ধু। এছাড়া গত ২০ জানুয়ারি একই সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে মারা যান ছাত্রলীগের চার নেতা।