বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার, সকালে সুকদাড়া এলাকায় ভূমিহীন সংগঠন ও এলাকাবাসী উদ্যোগে বগার খাস খাল কালেকশন বা জলমহল বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এই সরকারি বগারখাল জনস্বার্থের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন গড়ে তুলবো। সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ভূমিহীন ও এলাকাবাসি বগারখাল উন্মুক্ত করার জন্য বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ খুলনা বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নে অবস্থিত উক্ত বগার খালটি। হাইকোর্ট রিট পিটিশন মোকদ্দমায় দাখিল করায় মহামান্য হাইকোট ৬ মাসের ইজারা স্থাগিত আদেশ প্রদান করেন। অথচ সেই আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বটিয়াঘাটা এসিল্যান্ড ও সুরখালী ভূমি অফিসের নায়েব জলমহল হিসাবে খালটি ইজারা প্রদান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারই প্রতিবাদে এলাকার ভূমিহীন সংগঠন ও এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
এছাড়া নিজেরা করি ও বেলা এনজিও সংস্থা মহামান্য হাইকোট ৫৭/১০ নং রীট পিটিশন মোকদ্দমা দাখিল করেন। উক্ত রীট পিটিশন মোকদ্দমায় গত ইং-১৫/০২/১০ তারিখে চাষযোগ্য জমিতে লবন পানি উত্তোলন করিতে না পারেন তাহার আদেশ প্রদান করেন। উক্ত ২টি রীট পিটিশন মোকদ্দমার আদেশ বহাল ও বলবৎ আছে। রীট পিটিশন মোকদ্দমার আদেশ বহাল থাকাবস্থায় খাস কালেকশন আদায় কিংবা জলমহল ইজারা সংক্রান্ত কোন প্রকার কার্যক্রম আদালত অবমাননার সামিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তারা সুরখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মো: জাকির হোসেন ও বটিয়াঘাটা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তারা বলেন, এই দুই কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের নামে বগার খালটি এজারা দেন। তারা অবিলম্বে বগারখালটি এজারা বন্ধের জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা, হামিদার রহমান, অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, গোলাম মাহমুদুল ফকির, রুহুল সরদার, নূর মোহাম্মদ,রফিকুল ইসলাম, আমানুল্লাহ, হামিদার মোল্লা, আজিজুর মোল্লা, মর্জিনা বেগম,শিউলি বেগম, আব্দুল হালিম, আমজাদ শেখ, নোয়াব আলী, ইউনুস আলী, ফরহাদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, কাদের হোসেন, আফজাল, আরজান, হাবিবুর, শাহারুল, মোস্তফা সহ ভুমিহীন সংগঠন এবং এলাকাবাসী।

