বসুন্ধরা শুভসংঘ মাদাবীপুরের কালকিনি শাখার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে সমাবেশ চলাকালীন সময় শিকারমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালকিনি শাখার সহ-সভাপতি সজিব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানহা ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.রাজেশ মন্ডল।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিকারমঙ্গল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা  শুভসংঘ কালকিনি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহরাব রাতুল, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক জেমি আফসানা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ শারাফাতসহ আরও অনেকে।

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.রাজেশ মন্ডল তার আলোচনায় আমরা সবাই জানি,”স্বাস্হ্যই সকল সুখের মূল”। শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে আমাদের মন মানসিকতা ঠিক থাকে না।তোমাদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ আসবে না। কোন কিছুই ভালো লাগবে না। আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্য সচেতন থাকি। বিশেষ করে আমরা খাবার গ্রহনে যেন গুরুত্ব দিই। কী বিষয়ে গুরুত্ব দিব? খাবার বাছাই এবং সময়মত গ্রহণ। সাধারণত দেখা যায় ক্লাশের ফাঁকে একটু ঝালমুড়ি,একটু ফুসকা,একটু চটপট্টি খাওয়ার প্রবণতা।এই অভ্যাস দূর করতে হবে। এই প্রকারের ফাস্টফুড আমাদের পরিহার করতে হবে। আমরা যেন বাসা থেকে স্বাস্হ্যকর খাবার খেয়ে আসি এবং টিফিন প্রিয়ডের সময় সাথে করে খাবার নিয়ে আসি। বাইরের খাবারগুলো আমাদের স্বাস্হ্যহানি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। আমরা শারীরিক ভাবে তো দূর্বল হই তথাপি মানসিকভাবে আমরা দূর্বল হয়ে যাই যা আমাদের কাম্য নয়। সুতরাং আমরা সবাই যেন বিষয়গুলো পরস্পরের সাথে আলোচনা করি, বাহিরের খাবার গুলো এড়িয়ে চলি। বাসায় ফিরে মা বাবার সাথে বিষয়গুলো শেয়ার করি। সবাই মিলে স্বাস্হ্য সচেতন হই।আমরা প্রতিবার যেন খাবার গ্রহণের পূর্বে এবং পরে অবশ্যই সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুইতে যেন ভুলে না যাই। এই অভ্যাস সবাই গড়ে তুলি। তাহলে আমরা কৃমি উপদ্রব অনেক কমাতে পারব। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যগতভাবে সবল রাখতে পারব। আমরা অতিরিক্ত তৈল,চর্বি, চিনি লবণ পরিহার করব। যে সকল খাবার আমাদের স্বাস্থ্যহানি করে অবশ্যই আমরা তা পরিহার করব। আমরা আমাদের পাড়া প্রতিবেশীদের এ বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করব তারাও যেন স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন হয়। তবেই আমরা সুন্দর স্বাস্থ্য ও মননের অধিকারী হতে পারব। সুতরাং আমরা সবাই ভালো থাকি,সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হই এ নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, বলেন আমরা যেন বিদ্যালয়ে আসার পর  বহিরের কোন গ্রহণ না করি। এই বিয়য়ের উপর বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সজাগ থাকতে হবে।