বরিশালঃ
শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় পটুয়াখালী পৌরসভার শ্রীশ্রী মদনমোহন জিউর মন্দিরে স্থানীয় সাংবাদিক সুনান বিন মাহাবুব হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তিনি পটুয়াখালীর একটি স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে পূজামণ্ডপে সংবাদ সংগ্রহের সময়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সুনান বিন মাহাবুব পূজামণ্ডপের সার্বিক পরিবেশ ও পূজার আয়োজন নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎই একদল দুষ্কৃতকারী তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সাংবাদিকের হাতে থাকা মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সুনান বিন মাহাবুব জানান, “আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি এসে আমার ফোন কেড়ে নেয় ও হেনস্তা করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পূজা উদযাপন কমিটির একাধিক সদস্যকে জানালেও তাঁরা দায়িত্ব এড়িয়ে যান।”
সাংবাদিক ও সচেতন মহলের ক্ষোভ
এ ঘটনায় পটুয়াখালীর সিনিয়র সাংবাদিক মহল তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, পূজার মতো একটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীর প্রতি এমন আক্রমণাত্মক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তাঁরা অবিলম্বে ঘটনার জন্য দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় সচেতন মহলের উদ্বেগ, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহিত হবেন। তাঁদের মতে, স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্ন সংবাদ পরিবেশনার স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ ঘটনায় পটুয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পূজা উদযাপন কমিটির আশ্বাস
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরণ দাস বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সাংবাদিকরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করতে এসেছেন, তাঁরা আমাদের মেহমান। তাঁদের সাথে এমন ঘটনা কাম্য নয়। কমিটির সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তাঁর সুরে তাল মিলিয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সঞ্জয় খাসকেলও বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
তবে মন্দিরস্থ পূজা উদযাপন কমিটির কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

