• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • বৃষ্টি নামাতে না পারলেই হত্যা 

     Ahmed 
    08th Oct 2025 4:23 pm  |  অনলাইন সংস্করণ Print

    অনলাইন ডেস্ক:     দক্ষিণ সুদানের লোপিত পর্বতমালার পশ্চিম দিকে অবস্থিত প্রত্যন্ত গ্রাম লোহোবোহোবো। যেখানে ছোট কৃষি সম্প্রদায়ের জন্য বৃষ্টি ছিল ফসলের রক্ষাকবচ। আর এই বৃষ্টি আনার দায়িত্বে ছিলেন সলোমন অতুর। একজন প্রথাগত ‘রেইনমেকার’। যিনি প্রার্থনা ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃষ্টির আহ্বান করতেন। কিন্তু কয়েক বছরের ধারাবাহিক খরা গ্রামের মানুষদের জীবনের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। ফসল নষ্ট হচ্ছে। খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে মানুষের হতাশা ও ক্ষোভও বেড়েছে। যা ঝুঁকিতে ফেলে অতুর জীবন। ক্ষুধার্ত সম্প্রদায়ের নেতারা অতুরের কাছে বৃষ্টি নামাতে না পারার ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। উত্তর না জানায় ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান অতুর। তবুও শেষরক্ষা হয়নি তার। জোর করে গ্রামে ফিরিয়ে এনে জীবন্ত কবর দেওয়া হয় তাকে। শুধু অতুরই নয়, ভয়াবহ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন গ্রামটিতে বৃষ্টি নামাতে না পারলেই হত্যা করা হয় ‘রেইনমেকার’দের।

    বেশ কয়েক বছর ধরে জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ কবলে পড়েছে দক্ষিণ সুদান। গত কয়েক বছরের খরা মানুষের জীবিকা ধ্বংস করেছে দেশটিতে। যা ক্ষুধা সংকটকে আরও তীব্র করেছে। আর কৃষিনির্ভর গ্রামগুলোতে মানুষের মধ্যে ক্রমেই হতাশা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্রোধও। সংকটের উত্তর খুঁজে না পেয়ে অন্যকে দোষারোপ করছে তারা। এই ক্ষোভ রেইনমেকারদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে না পেরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন অতুর। তিন-চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তার ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পালিয়েও পার পাননি।

    ২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম দিকে কয়েকজন যুবক তাকে গ্রামে ফিরতে বাধ্য করেন। গ্রামে ফেরার পরের দিন সকালে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘অতুর কোনো প্রতিরোধ করেনি। তাকে গ্রাম থেকে বাইরে এবং পর্বতের নিচে একটি সদ্য খনন করা গর্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে জীবিতই কবর দেওয়া হয়।’ সলোমন অতুরের হত্যার খবর প্রথম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং পরে তার পরিবারের সদস্য, রাজ্যের রাজধানী তোরিতের সরকারি কর্মকর্তা এবং গ্রামের বাসিন্দাদের মাধ্যমে আল-জাজিরার কাছে নিশ্চিত হয়। শুধু অতুরই নয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন আরও অনেকেই। সম্প্রদায়ের নেতাদের এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত চার দশকে লোপিত পর্বতমালায় অন্তত আরও পাঁচজন রেইনমেকারদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে। আশপাশের এলাকার আরও অনেককে কবর দেওয়া হয়েছে, জীবিত পোড়ানো হয়েছে, পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, বা নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা বের করতে পারেনি আল-জাজিরা।

    উপরের নিউজটি মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকলে প্রমাণসহ dailyswadhinshomoy@gmail.com এ ইমেইল করে আমাদেরকে জানান অথবা আমাদের +88 01407028129 নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    October 2025
    S M T W T F S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031