• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • তাড়াইলে অনলাইনে জুয়া বিরোধে প্রাণ গেল আল আমিন নামের এক যুবকের 

     swadhinshomoy 
    28th Sep 2025 11:42 am  |  অনলাইন সংস্করণ Print

    তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : মো ওমর খান সানিঃ

    কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধে আল আমিন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আল আমিন উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে।

    এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় অনলাইনে জুয়া খেলা নিষেধ দিতে গিয়ে জুয়ার এজেন্ট আলাল উদ্দিনের ছেলে শামিমের সাথে দেওয়ান আলীর ছেলে আল আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে মারামারি হয়। এসময় আল আমিনসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। একই এলাকার নাইমুল ইসলাম নাইম সহ আরও কয়েকজন তাদেরকে কিশোরগঞ্জ নেওয়ার পথে উপজেলার তালজাঙ্গা বাজারে শামিম তার জুয়ারো গুন্ডাবাহিনী নিয়ে জসিম উদ্দিনের ছেলে এরশাদ, ফরিদ, সোহেল ও বাদল আহতদের উপর পুনরায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে আল আমিন, মিজান ও আবদুর রউফকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। সেনাবাহিনী আহতদের পুলিশি হেফাজতে দিলে আল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাৎক্ষণিক কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আল আমিন চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

    শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিযে জানা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে শামিম বহু বছর থেকে অনলাইনে ‍জুয়ার এজেন্ট হিসেবে এলাকার যুবক ছেলেদের জুয়ার জগতে আসক্ত করে আসছেন। এক পর্যায়ে শামিম সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে চাকুরী পেয়ে তার জুয়ার এজেন্টটি তারই চাচাতো ভাইকে দিয়ে যান এবং এরই একটি লাভের বড় অংশ সে গ্রহণ করেন। ঘটনার ৪/৫ দিন আগে শামিম ছুটিতে বাড়িতে আসেন এবং পূর্বের মতো জুয়ার ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করেন। ঘটনার দিন আল আমিন জুয়া খেলার জন্য নিষেধ করলে শামিম ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্য জুয়ারী এজেন্ডদের সাথে নিয়ে আল আমিনকে মারপিট করেন। এতে আরও কয়েকজন আহত হন। এলাকাবাসী আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাইমুল ইসলাম নাইম বলেন, আমি আহতদের কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার পথে শামিম তার দলবল নিয়ে তালজাঙ্গা বাজারে পথের গতিরোধ করে আক্রমণ করেন। এতে আমি ভয়ে দূরে সরে যাই। শামিম গংরা আল আমিনসহ মিজান ও আবদুর রউফকে মেরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পরে সেনাবাহিনী তাদের তাড়াইল থানায় নিয়ে যায়, তখন আল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ নিয়ে গেলে সেখানেই সে মারা যায়।

    এ বিষয়ে তাড়াইল থানা (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ কর্মকর্তা সাব্বির রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে করিমগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সার্জেন্ট সাখাওয়াত আলীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের একটি দল তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে আল আমিন, রতন মিয়ার ছেলে মিজান, হাছেন আলীর ছেলে আবদুর রউফকে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় আল আমিনকে গুরুত্বর আহত দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও বলেন, পরদিন শনিবার সকালে আল আমিনের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি দুই জনকে ৫৪ ধারায় জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রের জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

    উপরের নিউজটি মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকলে প্রমাণসহ dailyswadhinshomoy@gmail.com এ ইমেইল করে আমাদেরকে জানান অথবা আমাদের +88 01407028129 নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    S M T W T F S
     123456
    78910111213
    14151617181920
    21222324252627
    282930