• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • দুমকি উপজেলায়, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা 

     swadhinshomoy 
    06th Oct 2025 1:32 pm  |  অনলাইন সংস্করণ Print

    জাকির হোসেন হাওলাদার.দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

    পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায়,বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার সকাল ১০টায় দুমকি উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সম্মেলন কক্ষে দুমকি উপজেলা প্রশাসন, আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জর,‌ মো, এজাজুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার , উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সপেক্টর বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমির সুপারভাইজার, উওর সিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো,রফিকুল ইসলাম খান,শিক্ষক মোঃ মো আমির হোসেন হাওলাদার ,উল্লেখ্য মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের সম্মান জানাতে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এমন সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যখন বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকেরা আর্থিক ও মর্যাদার দাবিতে নানা রকমের আন্দোলন করছেন।
    প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে শিক্ষকদের অবদানকে সম্মান জানাতে এবং তাঁদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। ২০২৫ সালের এই দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘শিক্ষকতাকে একটি সহযোগী পেশা হিসেবে পুনর্গঠন’। এই প্রতিপাদ্যটি বাংলাদেশের চলমান শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে শিক্ষকরা প্রায় এককভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন। তাঁদের পেশাগত উন্নয়ন, মানসিক সুস্থতা কিংবা পাঠদান পদ্ধতির আধুনিকায়নে সহকর্মী, পরামর্শদাতা বা স্কুল নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত। এই বিচ্ছিন্নতা কেবল শিক্ষার মানের ওপর প্রভাব ফেলে না, শিক্ষকদের পেশায় ধরে রাখার ক্ষেত্রেও একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ২০২৫ সালের এই দিবসের লক্ষ্য হলো শিক্ষাদানকে এমন একটি পেশা হিসেবে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা, যেখানে পারস্পরিক সমর্থন, জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং সম্মিলিত দায়িত্ববোধকে উৎসাহিত করা হবে। বাংলাদেশে প্রতিপাদ্যটির প্রাসঙ্গিকতা : বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্যটি বিশেষভাবে অর্থবহ। দেশের শিক্ষাক্রমের সাফল্য বহুলাংশে নির্ভর করে শিক্ষকদের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর। এই ব্যবস্থায় শিক্ষকরা শুধু জ্ঞানদাতা নন, বরং সহায়ক। এখানে দলগত কাজ, প্রজেক্টভিত্তিক শিখন এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত, যা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষকদের মধ্যে নিবিড় বোঝাপড়া ও সহযোগিতা অপরিহার্য। দেশের শিক্ষাক্রমের অধীনে একজন শিক্ষককে বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকরা যদি একটি ‘চর্চার সম্প্রদায়’ গড়ে তোলেন, তবে তাঁরা একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারবেন, রিসোর্স শেয়ার করতে পারবেন এবং সম্মিলিতভাবে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এই সহযোগী মনোভাবই নতুন শিক্ষাক্রমের মূলশক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৫.৮ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় সাড়ে চার লাখ প্রাথমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরেও ধাপে ধাপে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণগুলোর উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং শিক্ষকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করা, যা নতুন শিক্ষাক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য। এই বৈশ্বিক আলোচনা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান বাংলাদেশের শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
    পরিশেষে শিক্ষকদের শুধু সম্মান জানালেই চলবে না, তাঁদের পেশাগত কাজের জন্য একটি সহায়ক ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করাও যেমন সবার দায়িত্ব, তেমনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, শিক্ষক যেন তাঁর পেশায় আস্থা পান, ভরসা পান। বাংলাদেশকে অবশ্যই শিক্ষকদের বিচ্ছিন্নতা দূর করে তাঁদের সম্মিলিত শক্তিতে রূপান্তর করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ একদল সহযোগী ও অনুপ্রাণিত শিক্ষকই পারেন দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে। ‌আলোচনা সভা শেষে একটি বিশাল র‍্যালি বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়।

    উপরের নিউজটি মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকলে প্রমাণসহ dailyswadhinshomoy@gmail.com এ ইমেইল করে আমাদেরকে জানান অথবা আমাদের +88 01407028129 নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    October 2025
    S M T W T F S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031