হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে এক গৃহবধুর ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। সোমবার (৬ অক্টোবর) ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম বাদী হয়ে হাতিয়া কোর্টে আনোয়ার হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওই এলাকার হারুন মাঝির ছেলে। আর ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম স্থানীয় জেলে মো. হাশেমের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে না থাকায় সুযোগ বুঝে আনোয়ার হোসেন কহিনুর বেগমের ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কহিনুর রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধুর ওপর চুল ধরে টানা, কাপড় ছিঁড়ে ফেলা এবং লাঠি দিয়ে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় জোরপূর্বক তিনটি একশ টাকার স্ট্যাম্প ও দুটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়, যাতে পরবর্তীতে সে ঘটনা ফাঁস করতে না পারে।
ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম বলেন,
আনোয়ার মেম্বার আমাকে বিভিন্ন সময়ে ফোনে কুপ্রস্তাব দিত। আমি বাধ্য হয়ে তার নাম্বার ব্লক করি। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সে আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। বাধা দিলে সে আমাকে মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে। এমনকি আমাকে কোথাও চিকিৎসা নিতে দেয়নি। তার লোকজন আমাকে কয়েকদিন ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন,
কহিনুরের মায়ের অনুরোধে আমি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক সমস্যা মীমাংসা করতে গিয়েছিলাম। দুইদিন চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন,
বিষয়টি আদালতের মামলা হিসেবে জানা গেছে। কোর্ট থেকে নির্দেশনা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

