গৌতম কুমার মহন্ত,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন শারদীয় দুর্গােৎসব উপলক্ষে নওগাঁর সদরসহ ১১ উপজেলার মন্দির গুলোতে প্রতিমা ভাস্কর শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে।এ দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোন বিশেষ মহল বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী তিথির মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎতম শারদীয় দুর্গােৎসব শুরু হবে।এ উৎসব ঘিরে জেলার সদর উপজেলায় ১২৫ টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫৮ টি, মান্দায় উপজেলায় ১১৩ টি,বদলগাছী উপজেলায় ১১০ টি, পত্নীতলা উপজেলায় ৮০ টি, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫৭ টি, আত্রাই উপজেলায় ৫১টি,রানীনগর উপজেলায় ৪৮ টি, ধামুইরহাট উপজেলায় ৩২ টি, পোরশা উপজেলায় ১৯ টি ও সাপাহার উপজেলায় ১৮ টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছে ভাস্কর শিল্পীরা।দুর্গা প্রতিমা গুলোর মাটির কাজ শেষ।প্রতিমা গুলোতে এখন রং তুলির শেষ আঁচর দিতে ভাস্কর শিল্পীরা দিবা রাত্রি পরিশ্রম করে চলেছে।নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিযোগিতা মুলক ভাবে ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কমিটি। মহাদেবপুর উপজেলার কুঞ্জবন শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির প্রাঙ্গণে দুর্গা প্রতিমা তৈরির ভাস্কর শিল্পী সুপথ চন্দ্র বর্মন বলেন,দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতির এই বাজারে এ শিল্পের সঠিক মুল্য কেউ দিতে চায়না।একটি বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে যে সময় এবং শ্রম দিতে হয় সেই হিসেবে তাদের পারিশ্রমিকের মুল্য কেউ দেয় না। শ্রমের হিসেব না করে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ পেশাকে তারা ধরে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ওই ভাস্কর শিল্পী জানান।এদিকে দুর্গাপুজা উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার, ১৪- বিজিবির উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ১৬- বিজিবির কর্ণেল আরিফুল ইসলাম মাসুম, সেনাবাহিনীর মেজর মোঃ কাওছার আলী ও জেলার ১১ উপজেলার পুজা উদযাপন এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। ৫ দিনব্যাপী এ দুর্গাপূজায় কোন বিশেষ মহল বা গোষ্ঠী যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেতে না পারে সে লক্ষ্যে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি,পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীসহ পুলিশের সাদা পোশাকের বিশেষ টিম জেলার প্রতিটি উপজেলায় তাদের দ্বায়িত্ব পালন করবে।সেই সঙ্গে প্রতিটি মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ট্যাগ অফিসার থাকবে এবং কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্র জানান।এছাড়াও সুত্রমতে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ পুজাকে কেন্দ্র করে আতশবাজি ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ দশমীর দিন সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনে নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

