• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • চরফ্যাসনে তিন প্রকল্পে অভূতপূর্ব উন্নয়নে বদলে গেছে গ্রামের চিত্র 

     swadhinshomoy 
    17th Sep 2025 3:28 pm  |  অনলাইন সংস্করণ Print

    মোঃ মিজানুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধিঃ

    ভোলার চরফ্যাসনে টিআর, কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে গ্রামীন জনপদের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাল্টে গেছে গ্রামীন জনপদের চিত্র। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ববধায়নে গ্রামীন জনপদে কাঁচা সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও মেরামত ভরাটসহ নানা উন্নয়ন কর্মকা-ের সুফলে গ্রামীন জনপদের আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। যার সুফল এখন গ্রামের সাধারন মানুষ ভোগ করছে।
    প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানাগেছে, চরফ্যাসন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে গ্রামীন জনপদের উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৫৯টি ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে টিআরের ২ কোটি ৬৮ লাখ, কাবিখার অনুকূলে ২৫৫ মেঃটন গম ও কাবিটা প্রকল্পের আওয়াতায় ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দের কাজ মার্চ মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। বিন্তু বৈরি আবহাওয়া ও অতি বৃষ্টিপ্রাতের কারনে প্রায় সব প্রকল্পের কাছের সমাপ্ত হলেও বিচ্ছিন্ন কিছু প্রকল্পে নিদিষ্ট সময় কাজ শুরু করা হলেও বৈরি আবহাওয়ার করনে কিছু মাটির কাজের আংশিক সম্পন্ন করা হলেও কিছু কাজের বিঘন্ন হয়। ইতিমধ্যেই ওইসব কাছ গুলো সম্পন করার কাজ চলমান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অসম্পর্ন কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
    সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার একাধিক প্রকল্পে ঘুরে দেখা যায়, চরফ্যাসনের অবহেলিত জনপদে মানুষের যোগাযোগের জন্য চরফ্যাসন উপজেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে সড়ক। যা বিগত সরকারের সময় ছিঁটেফোঁটা কাজ না হলেও সরকার পতনের পর চরফ্যাসন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে টিআর,কাবিখা ও কাবিটা জন্য বরাদ্দকৃত কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। গ্রামগঞ্জের অবহেলিত কাঁচা সড়ক গুলো নির্মানের ফলে নিত্যদূর্ভোগের লাগব হয়েছে। এতে দূর্দশা থেকে মুক্তি পেয়েছে চরফ্যাসন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
    হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজল ইসলাম জানান, ওই ইউনিয়নের সিকদারের দোকান থেকে প্রায় দুই কিলো মিটারের এই কাঁচা সড়কটি ছিলো দুই গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা। সরকারের পর সরকার এলেও ছিঁটেফোঁটা কাজ হয়নি এই সড়কের। বর্ষায় হাঁটু পানি বয়ে স্কুলে যেতে দুর্ভোগে ছিলেন শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে গ্রামীন জন উন্নয়নের বরাদ্দ থেকে সড়কটি নির্মান করে দেয়ার কারনে দূর্ভোগ কেটেছে মানুষের । এতে সড়কটি নির্মানের ফলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে সাধারন মানুষ।
    রসুলপুর ইউনিয়নের মালেক ডুবাই জানান, ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর মসজিদের মুসুল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি দির্ঘ ৪০ বছরেও কোন মাটির ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু বিগত বছর গুলোতে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে ধর্ণ ধরেও কোন প্রতিকার মেলেনি। কিন্ত চলতি বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি এই সড়কটির জন্য বরাদ্দ দেন। সেই বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি নির্মান করে দিয়ে দুই গ্রামের মানুষের দূরদর্শা লাগব হয়েছে।
    এওয়াজপুর ইউনিয়নের শিক্ষার্থী তানহা জানান, সড়কে হাঁটু পানির কারনে বর্ষার মৌসুমে স্কুলে যেতে পারিনি। সড়কে বর্ষায় হাঁটু পানি দিয়ে স্কুলে যেতে প্রায় সময় বই খাতা ও জামা কাপড় ভিঁজে যেতো। কিন্তু এবছরে রাস্তাটি নির্মান করায় এখন আর স্কুলে যেতে কোন কষ্ট হয়না। এখন তিনি নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন।
    রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঢালচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম জানান, এই বিদ্যালয়টি ঢালচরের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে রসুলপুর ইউনিয়নের স্থানান্তর করা হয়েছে। তার বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকার কারনে খেলাধুলা বঞ্চিত হতো শিক্ষার্থীরা। এবং বিদ্যালয়ের ঘর বর্ষার মৌসুমে পানি পরার কারনে খেলা পড়ায় বিঘন্ন হতো। কিন্তু এবছরে সরকারী বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট ও ঘরটি সংস্কার করে দেয়ায় এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কষ্ট লাগব হয়েছে।
    জিন্নাগড় তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, তার ওয়ার্ডে তিনটি প্রকল্পের কাজের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। তার ইউনিয়নের অবহেলিত তিনটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। গুনগত মান নিশ্চিত করে কাজগুলো সম্পন্ন করায় ওই গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ কেটেছে। এতে গ্রামের মানুষ চলাচলের সুবিধা ভোগ করেছেন।
    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি এম. ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, কাবিখা, কাবিটা ও টিআর এই তিনি প্রকল্পের সকল কাজগুলো যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসন সহ আমি তদারকি করছি। বর্ষার কারণে অনেক স্থানে কাজ আংশিক বন্ধ রয়েছে। সেসব কাজ গুলো এখন চলমান রয়েছে। কাজের কোন অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই তারা প্রতিদিন নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। সঠিক ভাবে কাজ বুঝে নিয়ে সিভিসিদের অর্থ ছাড় দেয়া হবে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি জানান, সকল সিভিসিদের (ইউপি সদস্য) পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না করা হয়। যদি অনিয়ম হয় তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আমি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়কটি প্রকল্প পরিদর্শন করে আসছি সবকটিতে ভালো মানের কাজ হয়েছে। আশাকরি বাকি গুলোতেও ভালো হবে।
    তিনি আরও জানান, দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া ও তীব্র বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে কিছু কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও একেবাওে সম্পন্ন হয়নি।সেসব কাজগুলো এখন চলমান রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে কিছু মানুষ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আমি এসব মহলকে আহবান করবো যাতে তারা সরেজমিনে গিয়ে কাজগুলো দেখে আসেন। প্রকল্পের একটি টাকাও যেন অপচয় না হয় এবং সবকিছুই জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য আমি নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    উপরের নিউজটি মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকলে প্রমাণসহ dailyswadhinshomoy@gmail.com এ ইমেইল করে আমাদেরকে জানান অথবা আমাদের +88 01407028129 নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    S M T W T F S
     123456
    78910111213
    14151617181920
    21222324252627
    282930