নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলা সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সেলিনা আক্তার গর্ভবতী নারী এবং কৈশোর সেবা টাকার বিনিময়ে করে থাকেন।এতে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় জনসাধারণের সূত্রে জানা যায় ২০০২ সালে ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দাতা মৃত সুলতান আহমদের তিন পুত্র (১) খুরশিদ আলম (২) আবুল কালাম(৩) জাহাঙ্গীর আলম বিনা অর্থে সরকারের নিকট ৩০ শতাংশ জমি দান করেন।উক্ত হাসপাতাল কার্যকম শুরু থেকে ডাঃ সেলিনা আক্তার দীর্ঘ ১৭ বছর যাবতকাল কর্মরত আছেন।ইউনিয়ন বাসীরা ডাঃ সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে সেবা প্রত্যাশী রুগীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তুলেন।অভিযোগের মধ্যে তিনি নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য ৫,০০০ হইতে ৭,০০০ টাকা এবং গর্ভকালীন গর্ভ ভ্রাতা করানোর জন্য জন পতি ৫,০০০টাকা অবৈধ ভাবে গ্রহণ করিয়া আসিতেছে।যদি উক্ত অবৈধ টাকা সেবা প্রত্যাশীরা প্রদান না করে তাহলে তিনি সেবা প্রত্যাশীদের বিভিন্ন হয়রানি ও সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এলাকা বাসীরা ডাঃ সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ জানান তিনি হাসপালের পরিত্যক্ত ইনজেকশন সুইচ, ডেলিভারির বিভিন্ন ময়লা কাপড়,বিভিন্ন বর্জ্য পথচারী চলাচলের রাস্তায় পেলার কারনে একজন পথচারী ফাহিম (৩) বছরের শিশুর পায়ে ইনজেকশনের সুইচ বৃদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ডেলিভারির বর্জ্যের দুর্গন্ধ জনিত কারনে হাসপাতালের নিকটে বসবাসকারী মানুষের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এলাকায় বসবাসকারী ওমর ফারুক পিতা কামাল হোসেন জানান তিনি নোয়াখালী সিভিল সার্জন বরাবর একটি অভিযোগ পত্র পাঠান এবং তার অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তদন্তে আসেন। কিন্তু তদন্তের কোন সুফল মেলেনী বরং ডাঃ সেলিনা আক্তার প্রভাবশালী হওয়ার অভিযোগ কারিদের বিভিন্ন হুমকি ও হাসপাতালের পাশে চলাচলের পথে নেট জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে বাধা সৃষ্টি করেছেন। উক্ত ইউনিয়ন সেবা প্রত্যাশীরা সরকারের নিকট ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পরিদর্শিকা সেলিনা আক্তারের অপসারণ, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছিত করার আহবান জানাচ্ছেন

